হান্নান হত্যার বিচারের দাবিতে চাঁদপুর শহরে নিহতের লাশ নিয়ে মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে প্রায় কয়েক শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
এর আগে বিক্ষোভকারীরা চাঁদপুর সদর মডেল থানা ঘেরাও করার উদ্দেশ্যে কালিবাড়ি মোড় পর্যন্ত আসলে ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা কালিবাড়ি থেকে নতুনবাজার হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে রওনা হয়।
নিহতের বোনের জামাতা রুবেল ও চাচাতো ভাই আল-আমিনসহ পরিবারের সদস্যরা জানান, আমরা হান্নানের স্ত্রী হিরা ও শ্যালক শাওনকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা নিখোঁজ ডায়রি করার পর চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই রাশেদুদজামানকে বেনাপোল যেতে কয়েকবার অনুরোধ করি। এছাড়া হান্নানের লাশ আনার সময়ও তাকে যাওয়ার জন্য বলা হয়। আমরা এসআই রাশেদের প্রত্যাহার ও শাস্তি কামনা করছি। এছাড়া তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হন হান্নান মৃধা (৩৭) নামে ব্যবসায়ী। ১৩ দিন পর যশোরের বেনাপোল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
হান্নান মৃধা চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুদী মৃধা বাড়ি এলাকার আবুল হোসেন মৃধার ছেলে। বিষ্ণুদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে তার একটি দোকান রয়েছে।
১৩ মার্চ সকাল ৯টায় যশোরের শার্শা থানা পুলিশ খবর পেয়ে একটি গাছে হান্নানের লাশ মাটিতে পা লাগানো ঝুলন্তবস্থায় উদ্ধার করে। ১৫ মার্চ সোমবার রাতে বেনাপোল থেকে হান্নানের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে চাঁদপুর নিয়ে আসা হয়।
এর আগে বেনাপোলে হান্নানের লাশ পাওয়ার খবর শুনে স্বজনরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।